শরীয়তপুর-০৩ আসনে আওয়ামী লীগের মতভেদে জয়ে আশাবাদী বিএনপি

নৌকা মার্কায় ভোটে লড়তে বর্তমান এমপি নাহিম রাজ্জাকের সঙ্গে মাঠে নেমেছেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি বাহাদুর বেপারী। আর ক্ষমতাসীনদের এই বিভেদ কাজে লাগিয়ে শরীয়তপুর-৩ আসনটি জিতে নিতে চায় বিএনপি। ধানের শীষে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর প্রশ্নে তারা বলছে, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে, মতভেদ ভুলে কেন্দ্রের দেয়া প্রার্থীর পক্ষেই থাকছে তৃণমূল।নতুনভাবে সাজানো হয়েছে শরীয়তপুর-৩ আসন। ডামুড্যা, গোসাইরহাট ও ভেদরগঞ্জ থানার ৩ পৌরসভা ও ১৯ ইউনিয়ন মিলে এই নির্বাচনি এলাকা। ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৯শ ৭৪ জন। ভোটারদের একটি বড় অংশই পদ্মা-মেঘনার চরাঞ্চলের বাসিন্দা। শহরের সঙ্গে গ্রামের সংযোগে হয়েছে ব্রিজ-কালর্ভাট, সড়ক। ৩০ শয্যার হাসপাতাল এখন ৫০ শয্যার। শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারিকরণ হয়েছে স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা। ডামুড্যায় হয়েছে কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও। তবে স্বাস্থ্যসেবা ও রাস্তা-ঘাট নিয়ে সন্তুষ্ট নন স্থানীয়রা। তরুণ ভোটাররা চান শিল্প-কারখানা স্থাপন। বিএনপি প্রার্থী হতে মাঠে নেমেছেন সাঈদ আহম্মেদ আসলাম। ধানের শীষে লড়তে গণসংযোগে আছেন মিয়া মো. নুরুদ্দিন অপু, অ্যাডভোকেট তাহমিনা আওরঙ্গও। তবে নির্বাচনে যেতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পেলে মতভেদ ভুলে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে হানার প্রত্যয় তৃণমূলের।সেই দিক থেকে চিন্তা করলে আসনটি দখলে নিতে চায় বিএনপি। আসনটি দখলে নিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহমেদ গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইদ আহমেদ আসলাম নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রতিটি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনসহ বিএনপির সব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। নেতাকর্মীরা জানান, সাঈদ আহমেদ আসলাম এলাকার অসহায় মানুষের গৃহনির্মাণসহ মসজিদ- মাদরাসা ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহমেদ গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ আসলাম।স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ হলে তারা জানায়, দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি ব্যক্তিও তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তারা প্রার্থী বেছে নিতে চায়। যিনি সব সময় তাদের পাশে থাকেন তাঁকেই তারা প্রার্থী হিসেবে চাইবে। নেতাকর্মীরা বলছিল, দীর্ঘদিন ধরে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম উঠান বৈঠক, ঈদ পুনর্মিলনীর মতো অনুষ্ঠান বা দুস্থদের সহায়তা করার মতো নানা কাজ করে আসছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদ-আপদ, মামলায় পাশে থাকার কারণেও আসলামের প্রতি নেতাকর্মীদের আস্থা বেড়েছে।নেতাকর্মীরা মনে করছে, দলের দুঃসময়ে একমাত্র আসলামকেই তারা পাশে পেয়েছে। শরীয়তপুর-০৩ আসনে প্রায় নিষ্ক্রীয় জামায়াত ও জাতীয় পার্টি। সে কারণেই ভোটাররা বলছেন, মূল লড়াইটা নৌকা আর ধানের শীষেই হবে আগামী নির্বাচনে।

No comments